কালেমার অর্থ ও ফজিলত

 লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ

আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাইমুহাম্মাদ (.) আল্লাহর রাসুল।

কোরআনে কালেমা তাইয়্যেবা

কালেমা তাইয়্যেবার দুটি অংশ। প্রথম অংশটিলা ইলাহা ইল্লাল্লাহসুরা সাফফাতের ৩৫ নম্বর আয়াতে এবং দ্বিতীয় অংশমুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহসুরা ফাতহের ২৯ নম্বর আয়াতে বিদ্যমান। সুরা ইব্রাহিমের ২৭ নম্বর আয়াতে কালেমা তাইয়্যেবার কথা বলা হয়েছে।

অনেক হাদিসে কালেমা তাইয়্যেবার গুরুত্ব, তাৎপর্য ফজিলত বয়ান করা হয়েছে। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, মিরাজকালে আমি জান্নাতে প্রবেশের সময় এর দুই পাশে দেখি তিনটি লাইনে স্বর্ণাক্ষরে লেখা এক. লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।

দুই .আমরা যে ভালো কর্ম পেশ করেছি তা পেয়েছি। যা খেয়েছি তা থেকে উপকৃত হয়েছি। যা ছেড়ে এসেছি তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তিন. উম্মত হলো গুনাহগার আর রব হলো ক্ষমাশীল। (জামেউস সগীর, হাদিস : ৪১৮৬)
রাসুল (সা.)-এর আংটির মধ্যেও কালেমা তাইয়্যেবা লেখা ছিল।

কালেমা তাইয়্যেবার ফজি
লত

কালেমা তাইয়্যেবা নিয়মিত পাঠের মাধ্যমে নবীর শাফায়াত লাভ করা যায়। কালেমা তাইয়্যেবা পড়তে পড়তে ইন্তেকাল হলে মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে জান্নাত মুআজ ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যার শেষ কথা হবেলা ইলাহা ইল্লাল্লাহসে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুস্তাদরাক হাকেম, হাদিস : ১৮৭৮)
আল্লাহ তাআলা সবাইকে বেশি বেশি করে কালেমা তাইয়্যেবা পাঠ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


Comments